গাঢ়তর হল অনুব্রতর অন্ধকার

গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা এখন তিহার জেল। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে মেয়ে সুকন্যাও একই ঠিকানায়। এই পরিণতি থেকে অদূর ভবিষ্যতে রেহাই মেলার কোনও সম্ভাবনা দেখছে না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সদ্য সামনে আসা দলের পরিবর্তিত বীরভূম জেলা সংগঠনের বিজ্ঞপ্তিতে চোখ বোলালে এ বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ থাকছে না।

এককালে দাপটের সঙ্গে সামলেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির দায়িত্ব। শুধু বীরভূমই নয়, সংলগ্ন জেলাগুলিতেও অনুব্রত মণ্ডলের প্রভাব ছিল অবিসংবাদিত। গোটা রাঢ় বাংলা জুড়ে ‘ভোট করানো’র ব্যাপারে অনুব্রততেই চোখ-বন্ধ ভরসা রেখে এসেছে তৃণমূল দল। মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন ও একান্ত বিশ্বস্ত সেনাপতির সুদিন এখন অস্তমিত। ইডির হাতে গ্রেফতারির সঙ্গে-সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতার প্রাসাদ তাসের ঘরের মতো ভাঙতে শুরু করে। সেই ভাঙন আর রোধ করা যায়নি। উলটে আদালতের একের পর এক রায়ে ক্রমাগত ঘনিয়ে উঠেছে দুর্দিন।

অনুব্রতর অন্ধকার অব্যাহত। বরং ঘনতর হয়ে উঠল সোমবার। ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা ধরে ধরে সংগঠন সাজাচ্ছে তৃণমূল। স্বভাবতই বীরভূমের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। এবং দেখা গেল, অনুব্রতর কারাবাসকে গুরুত্ব দিয়ে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে জেলা তৃণমূল সংগঠনে। বোঝাই যাচ্ছে, ২৪-এর নির্বাচনে বীরভূম তথা রাঢ়বাংলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে কল্পনাতেও রাখছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় কঠিন সিদ্ধান্ত বলতে হবে। আর এটাও বুঝতে হবে যে, ‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়!’