বাড়ছে নেত্রীর ভরসা

দলে আরও উজ্জ্বল তরুণ সাংসদ!

বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তাঁর বিপুল কর্মকাণ্ড সন্দেহাতীতভাবে নজর কাড়ছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। তিনি তৃণমূলের তরুণতম সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam)। দলে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যানের। দিল্লির কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কলকাতার রাজভবন— সর্বত্রই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) পাশে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই সামিরুল ইসলামের উপস্থিতিই উজ্জ্বলতর হয়ে দেখা দিল। লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে তৃণমূলের ওই বিশেষ অধিবেশনে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) ভাষণ দেন ৭০ মিনিট। এর মধ্যে তাঁর মুখে দলের তরুণতম সাংসদের নাম শোনা যায় বারবার। সামনে দেশ জুড়ে ব্যাপক নির্বাচনী লড়াই। বোঝাই যাচ্ছে, সেই লড়াইয়ে সামিরুল ইসলামের উপর কতটা ভরসা রাখছেন দলনেত্রী।

তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে দলনেত্রী

শুক্রবার বিশেষ অধিবেশনে তৃণমূলের তরফে মোট ১১ জন নেতা বক্তব্য পেশের সুযোগ পান। তার মধ্যে ছিলেন সাংসদ সামিরুল ইসলামও। জ্বালাময়ী ভাষণ দেন তিনি। মণিপুরের দৃষ্টান্ত টেনে বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে তুলোধোনা করেন। বিপরীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সামনে এনে বুঝিয়ে দেন, লড়াইটা আসলে ‘বিজেপি বনাম বিরোধী’ নয়। লড়াইটা বিভাজন বনাম উন্নয়নের।

রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামের ভাষণ

রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামের এই উত্থান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এতে সবচেয়ে বেশি খুশি বাংলা তথা দেশের প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষ। সামিরুল বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ৪২-এ ৪২-এর লক্ষ্যে লড়াই তৃণমূলের। এমন সাংসদ আছেন বলেই হয়ত তৃণমূলনেত্রীর কণ্ঠেও ধ্বনিত হচ্ছে একই আত্মবিশ্বাসী ডাক।