মহার্ঘভাতায় নমনীয়তার ইঙ্গিত?

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা…

ডিএ (DA) বিষয়ে সহানুভূতির কথা কেন বললেন মুখ্যমন্ত্রী? বুধবার বিধানসভায় এই প্রসঙ্গের সূচনাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আগের অবস্থানে অনড় থেকে ফের উল্লেখ করেন, ‘মহার্ঘভাতা বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।’ পাশাপাশি তাঁর যুক্তি, ‘সরকারি কর্মী ও সাধারণ মানুষের বেতন এক নয়।’ মুখ্যমন্ত্রী আবারও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকুরেদের তুলনায় অধিক সংখ্যায় ছুটি পান। সহানুভূতির কথা উল্লেখ করে তাঁর সংযোজন, ‘এ নিয়ে প্রতিবাদ ঠিক নয়।’

আন্দোলনকারীরা নিঃসন্দেহে মনে করেন, ‘মহার্ঘভাতা বা ডিএ কর্মীদের ন্যায্যপ্রাপ্য— সঙ্গত দাবি।’ মুখ্যমন্ত্রী-কথিত ‘সহানুভূতি’ শব্দে তাঁদের আপত্তি থাকবেই। আবার বিধানসভায় রাজ্যের প্রধান প্রশাসকের মুখে এমন শব্দ উচ্চারিত হওয়ায়, রাজ্য সরকারের নমনীয়তার আঁচ পাচ্ছেন তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ কর্মী সংগঠনের কেউ কেউ।

কিন্তু মহার্ঘভাতা বিষয়ক জটিলতা এখন আর আন্দোলনকারীদের অনড় মানসিকতা বা মুখ্যমন্ত্রীর ‘নমনীয়তা’র মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গত বছরই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার বিধান দেয়। রাজ্য তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি বারবার পিছিয়েছে। বারবার হতাশ হতে হয়েছে দাবিদারদের। এখন আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে তাকিয়ে আন্দোলনকারীরা। ওইদিন শুনানির সম্ভাবনা।