কী খুঁজছে সিবিআই?

বড় পদক্ষেপের আভাস!

ফাঁপরে তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম (Jafikul Islam)। বৃহস্পতিবার জাফিকুলের দরজায় কড়া নাড়ে সিবিআই (CBI)। ডোমকলের (Domkal) বিধায়ককে একদফা জেরার পর তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। এবং চক্ষু-ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। লক্ষ-লক্ষ টাকা আর ভরি-ভরি গয়নার হদিশ পায় সিবিআই। সূত্রের খবর, দিনের শেষে ২৮ লক্ষেরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা! এছাড়াও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বর্তমান বাজারমূল্যে ১০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি সোনা!

এত টাকা ও এই পরিমাণ অলঙ্কার কীভাবে বিধায়কের নিবাসে গচ্ছিত হল, তা নিয়ে নানারকম অজুহাত-অনুমান-সন্দেহ দানা বেঁধেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে গুজব রটানোও। ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম সম্পর্কে রাজনৈতিক মহলেও বিরূপ মন্তব্য শোনা গিয়েছে।

তবে শুধু জাফিকুল নন। এদিন সিবিআইয়ের প্রশ্নের সম্মুখীন হন তৃণমূলের ২ কাউন্সিলরও। বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত (Bappaditya Dasgupta) ও দেবরাজ চক্রবর্তীর (Debraj Chakraborty) ঠিকানায় পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। সবক্ষেত্রেই ৫-৬ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। বাপ্পাদিত্য ও দেবরাজের থেকে মূলত কিছু নথিপত্র নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। মনে করা হচ্ছে, স্কুল ও পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই সক্রিয়তা।

তৃণমূলের তরফে বৃহস্পতিবারের ঘটনাক্রমকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সিবিআই আরও বড় কোনও চমক দিতে চলেছে। এটা তার ‘প্রিলিউড’।