উপজাতি স্বার্থ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ…
উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে চা বাগানের সকল শ্রমিককে জমির পাট্টা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay)। সঙ্গে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লাখ ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার অঙ্গীকারও করলেন তিনি। রবিবারই আলিপুরদুয়ারে ৬৪৪২ পাট্টা বিলি করা হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দারা।
আলিপুরদুয়ার জেলার বেশ কিছু চা বাগান বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে রয়েছে। সেই সমস্ত বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের জীবন বিপন্ন। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নদীগর্ভে অনেকাংশে তলিয়ে যাওয়া এলাকার বাসিন্দারাও চরম দুর্দশায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে সেইসব সংকটাপন্ন মানুষের পুনর্বাসনের জন্য সচেষ্ট হলেন। জেলা প্রশাসনকে অনুষ্ঠান মঞ্চেই নির্দেশ দিলেন দুর্দশাগ্রস্ত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিতে। তাঁদের নিখরচায় বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে বললেন তিনি। আলিপুরদুয়ার জেলায় বন্ধ থাকা চা বাগানের শ্রমিকদের অবিলম্বে মাসিক ১,৫০০ টাকা করে অর্থ সাহায্যের জন্য শ্রম দপ্তরকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তফসিলি উপজাতির (Scheduled Tribe) জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। উপজাতির এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা ট্রাইবাল সার্টিফিকেট না থাকার কারণে সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জেলাশাসককে নির্দেশ দিলেন সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিতে। সেক্ষেত্রে পরিবারের যে কেউ এর আগে উপজাতি শংসাপত্র পেয়ে থাকলে, সেটাই অন্যদের উপজাতিভুক্ত হওয়ার প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিবেচ্য হবে। জেলাশাসককে সরকারি নীতি স্মরণ করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা দুয়ারে সরকার শিবিরে এই সংক্রান্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে। জানালেন মমতা। মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দিলেন জানুয়ারি মাসের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে ট্রাইবাল সার্টিফিকেট পেয়ে যান, তা নিশ্চিত করতে। পাশাপাশি, ভুয়ো ট্রাইবাল সার্টিফিকেট বাতিল ক’রে তফসিলি উপজাতির স্বার্থ রক্ষার কথাও শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।