‘ঘনিষ্ঠতা’ এড়াতে চাইবেন নরেন্দ্র মোদী?
বুধবার সাংসদদের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ২ যুবক কার অনুমোদনে লোকসভায় ঢুকেছিল? তাদের ভিজিটর্স পাস ইস্যু করেছিলেন কে? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও জানেন না, এই মুহূর্তে এমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া ভার!
হ্যাঁ, তিনি মহীশূরের বিজেপি (BJP) সাংসদ প্রতাপ সিমহা (Pratap Simha)। নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে প্রতাপের সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলেছে তৃণমূল (AITC)। কংগ্রেস (INC) চাইছে সরাসরি গ্রেফতারি। সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে আপোস কেনই-বা করা হবে? সঙ্গত প্রশ্ন।
কিন্তু প্রতাপ সিমহা সম্পর্কে আর কিছু জানেন কি? এক্স (X, পূর্বনাম Twitter) অ্যাকাউন্টে তাঁর পরিচিতির একটা অন্যতম দিক হল, তিনি কলামিস্ট (Columnist)। নিজের এক্স অ্যাকাউন্টের সঙ্গে হাইপার লিঙ্ক করে রেখেছেন তাঁর কলাম লেখার পরিসরটিকেও। ইন্টারনেট-ভাষিত ঠিকানা pratapsimha.com। সেখানে রীতিমতো লেখালেখি প্রকাশ করেন তিনি। বিষয় মূলত বিজেপি সাংসদ হিসেবে নিজস্ব কর্মকাণ্ড, ১০০% রাজনৈতিক, বলাবাহুল্য নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কেন্দ্রিক।
প্রতাপ সিমহার এক্স অ্যাকাউন্টের কভার ইমেজে স্বমহিমায় শোভা পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলের তরুণ সাংসদের মুখোমুখি। দু’জনেই সহাস্য।
প্রতাপের বিভিন্ন পোস্টে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া জানান দিচ্ছে, মহীশূরে যথেষ্ট জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব তিনি। কিন্তু যেটা আশ্চর্যের বিষয়, সেটা হল – তাঁর ইস্যু করা পাস নিয়ে মনোরঞ্জন ও সাগর লোকসভায় তুলকালাম ফেলে দিল, অথচ সেই প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে তিনি একেবারেই নীরব! নিকটজনের বৃত্তে প্রতাপ সিমহা নাকি বলেছেন, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে সাগরের পিতা দেখা করতে চেয়েছিলেন বলেই প্রবেশে অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা নিয়েও তাঁর এক্স হ্যান্ডল থেকে এখনও পর্যন্ত একটিও পোস্ট বিনির্গত হয়নি! পরিবর্তে বিতর্কিত প্রসঙ্গ এড়িয়ে অন্যান্য পোস্ট করছেন প্রতাপ। অবশ্য সেইসব পোস্টের নীচে এরই মধ্যে চলে এসেছে ‘সংসদে মনোরঞ্জন ও সাগরের প্রবেশ অনুমোদন’ প্রসঙ্গ। মিলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
লোকসভার কাণ্ড নিয়ে তাঁর এই নীরবতাকে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বলে প্রশংসা করছেন কেউ। আবার সেই নীরবতাকে প্রশ্নও করছেন কেউ-কেউ। কোনও কোনও ফলোয়ার খাড়া করেছেন প্রিয় নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। দিয়েছেন সঙ্গে থাকার বার্তাও।
প্রতাপ সিমহার এক্স অ্যাকাউন্টটি ‘followed by Narendra Modi’। তা তো হতেই পারে! নিজের দলের সাংসদকে সামাজিক মাধ্যমে অনুসরণ করা কোনও অপরাধ নয়। তবে সেই সাংসদ যখন সংসদের নিরাপত্তার প্রশ্নেই পরোক্ষভাবে গাড্ডায় পড়েছেন, তখন তো আর দায় এড়ালে চলবে না! ‘ঘনিষ্ঠ’ সাংসদকে গাড্ডা থেকে উদ্ধার করবেন, নাকি রাজনৈতিক ‘শত্রু’দের সামলাবেন আগে – সেটা অবশ্য একান্তই নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর ব্যক্তিগত অথবা দল-নির্দেশিত সিদ্ধান্ত। তবে সিদ্ধান্তটা এবার নিতেই হবে।
Image Courtesy: X/@mepratap