কোথায় প্রলেপ, কোথায় হাতুড়ি?
অন্তর্দ্বন্দ্বের খেলায় সপাটে বিজেপির কোর্টে বল ঠেলে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। চুঁচুড়ার দলীয় কর্মসূচি থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এক এবং অভিন্ন তৃণমূল লড়ছে। বিজেপি আগে ঠিক করুক, আরএসএস-বিজেপি না সিবিআই-ইডি থেকে বাঁচতে যাওয়া দলবদলু বিজেপি? গদ্দার বিজেপি না পুরনো বিজেপি? শুভেন্দু-বিজেপি না সুকান্ত-বিজেপি? সুকান্ত-বিজেপি না দিলীপ-বিজেপি? এগুলো আগে বিজেপি ঠিক করুক।’
তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তর নিয়ে অতি উৎসাহী বিরোধীদের প্রতি নাম না করে কুণাল ঘোষ তোপ দাগেন, ‘অনেকে শকুনের মত নজর রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। তৃণমূলকে ভাঙতে পারলে, তৃণমূলকে ক্ষতি করতে পারলে, তৃণমূলকে দুর্বল করতে পারলে, পশ্চিমবঙ্গ দখল করে নেওয়া যাবে। সে’গুড়ে বালি।’
তবে শুধু বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলেই নয়, বাংলার সাংবাদিক মহলেও ইদানীং চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে মমতা-অভিষেক সংঘাত। ধোঁয়াশা কাটাতে দীর্ঘ সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কুণালের স্পষ্ট দাবি, ‘২০৩৬ অব্দি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সরকার থাকবে। চলবে।’ উপস্থিত দলীয় রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘নতুন নতুন ছেলেদের আনুন। নতুন নতুন ছেলেদের তৈরি করুন।’
Image Courtesy: Facebook/Kunal Ghosh