তিন বছর পর পৌষ মেলা ফিরলো পৌষ মেলাতে। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তিন বছর আগে হঠাৎ করে ঘোষণা করেছিলেন যে বিশ্বভারতী পৌষ মেলার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করবে না। অথচ এই পৌষ মেলার সূচনা হয়েছিল মহর্যি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে। পরে রবীন্দ্রনাথের স্পর্শে সেই মেলার খ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল ।এটা শুধু নিছক মেলা নয়, বিশ্বভারতীর কলা ভবনের পড়ুয়ারা যেসব শিল্পকর্ম তৈরি করেন এবং বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতনের চারপাশে বহু হস্তশিল্পী আছেন, তাদের হাতে তৈরি শিল্পকর্ম আছে, সেই সমস্ত শিল্পীদের একটা বাজার তৈরি করে দেওয়ার জন্য অন্যদিকে সারাদেশে তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য পৌষ মেলার কোন বিকল্প ছিল না। এই এই মেলা ঘিরে হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকার অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। ৭ই পৌষ মেলা শুরুর দিনের জন্য তাই অপেক্ষা করে থাকেন। যেমন ক্রেতা তেমন বিক্রেতা সঙ্গে রবীন্দ্র প্রেমী মানুষজন বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লীর মাঠে এই বেলা সেই কোন সুদূর অতীত থেকেই চলে আসছে ঐতিহ্যবাহী সেই মেলায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন উপাচার্যবিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই সময় থেকেই অধ্যাপক সামিরুল ইসলামের নেতৃত্ব বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ বীরভূম জেলা প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এই মেলার আয়োজন করে। পরপর তিন বছর তাদের উদ্যোগে অন্য মাঠে মেলা সংগঠিত হয়। কয়েক মাস আগে বিশ্বভারতী উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরই বিশ্বভারতী. কর্তৃপক্ষ এই মেলা পূর্বপল্লীর মাঠে পুনরায় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু সময় কম হওয়ার জন্য তারা সেই সাহস দেখাতে পারেননি। তাই এবারও মেলা পুরনো জায়গাতে ফিরে এলেও মেলার মূল উদ্যোক্তা জেলা প্রশাসন ও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ.। অবশেষে আজ শুরু হয়েছে এই বেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি এই মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পৌষ মেলার উদ্বোধন করেছেন। এটাও এই প্রথম ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যে বলেছেন বিশ্ব ভারতীর অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। এখন দেখার তিন বছর পর পুরনো জায়গায় পৌষ মেলা কতটা সাফল্য ফিরে পেতে পারে
