নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সারা দেশের বিরোধী রাজনীতিকদের কী প্রতিক্রিয়া, দেখে নিন একনজরে
নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্র চালু করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই আইনের তীব্র সমালোচনা করেছে দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় এবং আঞ্চলিক স্তরের রাজনৈতিক দলগুলো। সিপিএম, কংগ্রেস থেকে শুরু করে মিম, সমাজবাদী পার্টির তরফে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি ভোটের আগে এই আইন চালু করে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে। নোটিশফিকেশন এখনও ইস্যু হয়নি। ওটা ইস্যু হওয়ার পরে যদি মনে হয় ব্যাপারটা জনবিরোধী তাহলে সর্বতোভাবে বিরোধিতা করবো।
কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেছেন মমতা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের আরও দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পিনারাই বলেছেন, এই আইন কেরলে চালু হবে না।
বামেদের তরফে বলা হয়েছে ২০১৯ সালে সংসদে পেশ হওয়ার সময় গোড়া থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধী বামেরা। এই আইনে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। আইনটি মুসলিম সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করবে বলে পিনারাই বিজয়নের অভিযোগ।
পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেজরিওয়াল বলেছেন, এই আইন দেশবিরোধী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।
কেজরিওয়াল বলেছেন, সারা দেশে চাকরি-বাকরি নেই। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জীবন চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে।
এইসব সমস্যার সমাধানের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করে লোকসভা ভোটের রাজনীতি করছে বিজেপি। কেজরিওয়াল এই অভিযোগও করেছেন।
সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এই আইনের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পর্যবসিত করবে। সমাজে সৃষ্টি করবে বিভাজন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ সালে সংসদের পাস হওয়ার পর চালু করতে চার বছরের বেশি সময় লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মিথ্যাবাদী বলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, ‘নাথুরাম গডসের ভেদভেদসৃষ্টিকারী চিন্তাকে মদত দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুসারে।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা ভারতে প্রবেশ করেছেন বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুসারে।
