মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন ব্যানার্জী সবার কাছে বাবুন নামেই বেশি পরিচিত। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার বর্তমান সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও ভাবেই মেনে নিতে রাজি নন বাবুন বন্দ্যোপায়। কলকাতার একটি বৈদুত্যিন মাধ্যমে সরাসরি বাবুন জানান প্রয়োজনে তিনি প্রসূণের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবে। এই খবর পাওয়ার পর শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান বাবুনের সঙ্গে সব রকম পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। একবার দেখে নেওয়া যাক দিদি ও ভাইয়ের বক্তব্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা।
‘আমি যে দিন থেকে দল করি, কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে কাজ করি। আমার পরিবার বলে কিছু নেই। মা মাটি মানুষই আমার পরিবার। আমাদের পরিবারে রক্তের সম্পর্কে ৩২ জন সদস্য। কেউ এ রকম নয়। এতে সবাই ক্ষুব্ধ। আমি সরাসরি বলছি, যারা বেশি বড় হয়ে যায়, তাদের লোভও বেড়ে যায়। ওকে পরিবারের সদস্য বলেই আমি মনে করি না। সব সম্পর্ক ছেদ।’
উঠে এল শৈশবের লড়াইয়ের কথা
, ‘ওরা (বিজেপি) পরিবারতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু আমি পরিবারতন্ত্র করি না। যে যেখানে ইচ্ছে ভোটে লড়তে পারে। আমার কিছু যায় আসে না। যাঁর নাম করছেন তাঁর অনেক কাজই আমার পছন্দ নয়, তবে মেনে নিতে হচ্ছিল এতদিন। ও ছোটবেলা ভুলে গিয়েছে। যখন বাবা মারা গিয়েছিলেন তখন ওঁর বয়স মাত্র আড়াই বছর ছিল, দুধ বিক্রি করে মানুষ করেছি। ভোট আসলেই এসব করে। অনেক অশান্তি সহ্য করেছি, আর নয়।’

কেন প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানতে পারছেনা বাবুন
, ‘যে মানুষটা হাওড়ায় প্রার্থী হয়েছেন, সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের এজিএমের সময় আমাকে গলাধাক্কা দিয়েছিলেন। আমাকে অপমান করেছিলেন। তাঁকে নিয়ে আমার প্রচুর অ্যালার্জি আছে। হাওড়ার মানুষ ওঁকে মেনে নিচ্ছেন কি না জানি না। কিন্তু আমি বলতে পারি, এই প্রার্থী ঠিক হয়নি। ওঁর যোগ্যতা নিয়ে আমার সংশয় আছে। আমি মনে করি, যে ক্লাস ফাইভ পাশ করতে পারে না। তাকে গ্র্যাজুয়েশন করানো হচ্ছে। এমপি ল্যাডের টাকা এলাকার মানুষের জন্য ঠিকমত খরচ করতে পারেননি, কোনও কাজ হয়নি। প্রসূনের থেকে অনেক ভাল প্রার্থী ছিল। ওর মতো বাজে লোককে না দেওয়াই উচিত ছিল।’
