CAA তে আবেদনের জন্য কি কি নথি আপনাকে দিতে হবে। জেনে নিন।
প্রথম ভাগের(১এ)জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলির মধ্যে যে কোন একটি জমা করা বাধ্যতামূলক।
১ বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান সরকারের ইস্যু করা পাশপোর্ট।
২. এই তিনটি দেশের প্রশাসনের জারি করা জন্মের শংসাপত্র।
৩. বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের স্কুল বা কলেজ বা বোর্ডের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।
৪. যে দেশের নাগরিক ছিলেন বা যে দেশ থেকে এসে ভারতে এসেছেন সেই দেশের সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র।
৫.বিদেশি আঞ্চলিক নিবন্ধন আধিকারিক বা ভারতের বিদেশি নিবন্ধন আধিকারিকের দ্বারা জারি করা বসবাসের অনুমতিপত্র।
৬. বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের জারি করা যে কোন লাইসেন্স।
৭. বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের জমি বা ভাড়ার সংক্রান্ত নথি।
৮.আবেদনকারীর পূর্বপূরুষদের মধ্যে দাদু, ঠাকুমার মধ্যে যে কোন একজন সংশ্লিষ্ট তিনটি দেশের নাগরিক ছিলেন সেই নথি প্রয়োজন। যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে তাঁরা কোন দেশের নাগরিক ছিলেন।
আবেদনপত্রের দ্বিতীয় ভাগে (১বি)যে সব নথি আপনাকে জমা দিতে হবে। যার মাধ্যমে প্রমাণিত হবে যে আপনি কবে ভারতে প্রবেশ করেছেন।
১.ভারতে আসার ভিসার জেরক্সকপি এবং পাশপোর্ট অফিসের স্ট্যাম্পযুক্ত নথি।
২.রেজিস্টেশন কপি বা ভারতে বসবাস করার অনুমতিপত্র যা ভারতের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(FRO) দ্বারা জারি করা হয়।
৩.ভারতে আদমসুমারি বা জনগণণার সময় গণনাকারীদের ইস্যু করা স্লিপের কপি।
৪.ভারত সরকারে জারি করা বিভিন্ন শংসাপত্র। যেমন সরকারের ইস্যু করা আধারকার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইত্যাদ্দি।
৫.রেশন কার্ড
৬. সরকারি স্ট্যাম্পসহ আবেদনকারীকে সরকার বা আদালতের দেওয়া কোন চিঠিপত্র।
৭ ভারত সরকারের ইস্যু করা আবেদনকারীর জন্মের শংসাপত্র।
৮.আবেদনকারীর নামে ভারতে জমির কোন দলিল বা ভাড়াটের রেকর্ড।
৯.প্যান কার্ড। কবে ইস্যু করা হয়েছে তার তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
১০. কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার বা কোন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার জারি করা কোন নথি।
১১ গ্রামের পঞ্চায়েত বা শহরের পুরসভার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জারি করা শংসাপত্র।
১২. আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক বা পোষ্ট অফিসের অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য
১৩.আবেদনকারীর নামে ভারতের কোন বিমা সংস্থার পলিসির নথি।
১৪.আবেদনকারীর নামে থাকা বিদ্যুতের বিল।
১৫. আবেদনকারীর নামে যদি আদালতে বা ট্রাইবুনালে কোন রের্কড থাকে তার নথি।
১৬.কর্মচারির কোন পিএফ বা পেনশন বা এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিয়োরেন্স কর্পোরেশন দ্বারা অনুমোদিত ভারতে কর্মসংস্থানের নথি।
১৮.পুরসভা বা পঞ্চায়েতের দেওয়া ট্রেড লাইসেন্স
১৯. বিয়ের শংসাপত্র
২০. ভারতের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সার্টিফিকেট থাকলে নথি হিসাবে দেওয়া যাবে।
এই সব শর্ত পূরণ করার পর ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর করা হলফনামায় জানাতেে হবে যে দেশ থেকে এসেছেন সেই দেশের ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা সঙ্গে তিনি কোন ধর্মের ।
আবেদন করবেন www.indiancitizenshiponline.nic.in
তাই নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি যতটা সহজ মনে করা হচ্ছে আদৌ এতটা সহজ বিষয় নয়। এত রকম কাগজপত্র জোগাড় কতজন করতে পারবেন তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহের অবকাশ আছে।
বিস্তারত তথ্য আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে তুলে ধরা হয়েছে।
সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা
