ব্যালট পেপার ছাড়া ভোটে কারচূপি করা সম্ভব আশঙ্কা কানপুর আই আই টির প্রাক্তন সন্দীপের

সৌজন্যে, টেলিগ্রাফ

বুথে ব্যালট পেপার না দিলে ভোট না দিয়েই ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসবেন। কারণ ইভিএম মেশিনে কারচূপি হতে পারে।এমনকি কালো কাঁচের ভিভি প্যাটকে বিশ্বাস করা যায় না।এই সংশয়ের কথা জানিয়ে ব্যালট পেপারে দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে আগাম চিঠি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সমাজকর্মী সন্দীপ পান্ডে। গতকাল লখনউতে সাংবাদিক সম্মেলন করে সন্দীপ জানিয়েছেন লখনউ, বারবাঙ্কি, সীতাপুর এবং হারদোই জেলার বিভিন্ন বুথে কয়েক শতাধিক ভোটার বুখে প্রবেশ করে ব্যালট পেপারের দাবি করবেন এবং তা না পেলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন না। টেলিগ্রাফে এই খবর গুরুত্ব সহকারে প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছে।

সমাজকর্মী সন্দীপ পান্ডে গত বছর প্যালেস্তাইনের প্রতি আমেরিকার মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ম্যাগসাসে পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।একই সঙ্গে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর সমস্ত ডিগ্রি ও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

সন্দীপ পান্ডে আইআইটি কানপুরের একজন স্নাতক, পান্ডে নিউ ইয়র্কের সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডুয়াল এমএস এবং বার্কলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেছেন।

প্যালেস্টাইনের প্রতি আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদে পান্ডে গত বছর তার ম্যাগসেসে পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সমস্ত ডিগ্রিও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

সন্দীপ পান্ডে বর্তমানে সোশ্যালিস্ট পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।তাদের দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

অন্যদিকে রাজস্থানের ভিলওয়াড়া থেকে লোকসভা নির্বাচনে রাইট টু রিকল পার্টির প্রার্থী, পবন কুমার, সাংবাদিকদের সামনে, একটি ইভিএম, একটি ভিভিপিটি মেশিন ,একটি ল্যাপটপের সাহায্যে তুলে ধরে দেখান কিভাবে ভোট “কারচুপি” হতে পারে। তিনি বলেন, যখনই দুজন ভোটার একই বোতামে চাপ দেন, তখন একটি ভোট এমন একটি দলে যায় যার জন্য মেশিনটি প্রোগ্রাম করা হয়েছে।

তিনি জানান ,ইভিএম-এ আপনি যে প্রতীকের বোতামে চাপ দেবেন, অন্য প্রতীকটির প্রিন্ট তৈরি করা হবে যদি এটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রোগ্রাম করা হয়। ভোট গণনা ইউনিটেও একই ঘটনা ঘটবে,” অভিযোগ করেছেন পবন কুমার।তিনি জানিয়েছেন “আমরা VVPAT এবং EVM-কে বিশ্বাস করি না। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভোটাররা যে কাঁচের ছবি দেখেছিলেন তার রঙ কেন স্বচ্ছ থেকে কালোতে পরিবর্তিত হয়েছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।একই সঙ্গে তাঁর দাবি ” আপনি যে প্রতীক টিপেছেন তার ছবি দেখার সময় কেন 14 সেকেন্ড থেকে কমিয়ে 7 সেকেন্ড করা হল? কেন তারা ভোটের পুরো সময় জুড়ে আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারে না, এবং কেন VVPAT স্লিপের যখন প্রিন্ট হয়? তখন ভোটার আলো নিভিয়ে ভোটার চলে গেছে?” এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সন্দীপ পান্ডে এবং পবন কুমার।

প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে আজকের টেলিগ্রাফ খবরের কাগজে।