মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম উড়িষ্যার সম্বলপুরে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। বছর ২৯র এই যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর দিশেহারা তাদের প্রিয়জনেরা। তাদের জানা নেই কিভাবে তারা দেহ নিয়ে আসবে। কোথায় যোগাযোগ করবে। ঠিক কঠিন এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা বিশেষ করে সেখ রিপন, অর্ণবরা কিভাবে উদ্যোগ নিল সেটাই সময় ধরে তুলে ধরছি। এখান থেকেই বুঝতে কতটা আন্তরিকার সঙ্গে কত দ্রুততার সঙ্গে কঠিন এই পরিস্থিতির সমাধান করলেন রিপনরা।
দুপুর ২ টো ১৪.. জলাসা শেখ গ্রূপে লিখেছেন…রিপনদা আমাদের একটা দাদা সম্বলপুরে ট্রেন থেকে পড়ে মারা গেছে। দাদা একটু সহযোগিতা করবেন।
এর মাঝে গ্রূপে অন্য সদস্যরা বিভিন্ন খবর আদান প্রদান করে পুরো ঘটনাটা বোঝার প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে।
২টে১৪ মিনিট.. রিপন জলসা শেখকে জানালেন কথা হচ্ছে. দেখছি, চেষ্ঠা চলছে।
দুপুর ১ টা ৫৪ .. রিপন ফোনে কথা জোনাল ইস্পপেক্টরের সঙ্গে। জানালেন পশ্চিমবঙ্গের একটা লেবার অর্গানাইজেশন থেকে কথা বলছেন। মুশিদাবাদের এক শ্রমিকের ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ করলেন রিপন। ফোনের ওপারে জোনাল ইন্সপেক্টরের বিনয়ের সঙ্গে জানালেন এই বিষয়টি বলতে পারবেন সম্বলপুর আরপিএফ। ফোন নম্বরও যোগাযোগের দিলেন।
বিকেল ৪ টা ২১..সম্বলপুরের আর পি এপ এস কে সাহুর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তুলে ধরলেন রিপন। বললেন নিহতের বোন খুব অসুস্থ। বোন মা কেউ এই মৃত্যুর খবর জানে না। রিপনের বিস্তারিত পরিচয় জেনে কথা দিলেন খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছেন।
বিকেল ৪ টে ২৫..রিপন যে হাসপাতালে বডি রাখা আছে সেই বীর সুরেন্দ্র সাই মেডিকেল কলেজের ছবি শেয়ার করল।
সন্ধ্যা ৬ টা ২.. পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্যমঞ্চের অন্য সদস্য অর্ণব পাল এই হাসপাতালের ফোন নম্বর শেয়ার করলেন।জানালেন হীরাকুদ স্টেশনের পাশেই এই হাসপাতাল।
এবার পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের অন্য সদস্য আলম লালন,রেজ্জাক শেখ, অর্ণব পাল, রিপনরা নিশ্চিত হওয়ার পর কিভাবে জাহাঙ্গীরের দেহ মুর্শিদাবাদের বাড়িতে আনা হবে তা নিয়ে চলছে গ্রূপে শলা পরামর্শ।
সত্যিই পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সদস্যদের অন্যের প্রতি সহমর্মিতা, সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ ও সমস্যার সমাধান করার যে গতি ধরা পড়ল তাকে কুনির্স জানাতেই হবে।সরকারি যে কোন উদ্যোগকে হার মানাবে তাদের উদ্যোগ। আর আন্তরিকতার তো কোন তুলনাই চলে না। ভেবে দেখুন এদের উদ্যোগ ও চেষ্ঠা।