বোলপুর থেকে চেন্নাইয়ের দুরত্ব ১৮৩৪ কিলোমিটার। এতটা পথ পেরিয়ে চেন্নাই থেকে হয়ত বোলপুরের বাড়িতে ফেরা হত না মফিজুলের। কিন্তু বাড়ি ফিরছে মফিজুল। দুশ্চিন্তার মেঘ সরিয়ে মফিজুলের পরিজনরা তার বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় উন্মুখ হয়ে আছে। কি হয়েছিল মফিজুলের চলুন সেটা তুলে ধরা যাক।
বোলপুর নতুন গ্রামের যুবক মফিজুল চেন্নাইয়ে পরিয়ায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিল। গিন্ডি এলাকায় কাজ করতেন। বেশ কিছুদিন কাটিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য চেন্নাই সেন্ট্রাল রেল স্টেশন আসেন মফিজুল। স্টেশন কয়েকজন দুস্কৃতির খপ্পরে পড়ে সে। ঐ দুস্কৃতিরা নিজেদের পুলিশের পরিচয় দিয়ে মফিজুলকে আটকে রাখে। মফিজুলের বাড়িতে ফোন করে ছেলের মুক্তির জন্য মুক্তিপন দাবী করে।
মফিজুলের পরিবার পুলিশের কাছে না গিয়ে যোগাযোগ করে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সক্রিয় কর্মী আসিফ আমিন ও রবিউল ইসলাম খান এর সাথে। তারা সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাইয়ের পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে কথা বলে। পুলিশের সক্রিয়তায় উদ্ধার করা হয়আটক মফিজুল কে। চেন্নাই পুলিশ মফিজুলকে ট্রেনে তুলে দেয়।
ভাবুন একবার কিভাবে পরিযায়ী ঐক্য মঞ্চের কর্মীরা পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। তা না হলে মফিজুলের পরিবারে পুলিশের চেয়ে বেশি আস্থা পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের প্রতি। এখানেই তাদের সাফল্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলার কয়েক লক্ষ পরিয়ায়ী শ্রমিক পরিবার আজ এইসংগঠনকে শুধু আপন নয়, বিপদের বন্ধু হিসাবে তাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখলেন আসিফ, রবিউলরা।