সমীক্ষা সত্যি হলে কমলা হ্যারিস হবেন প্রথম মহিলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তামিলনাড়ুর সঙ্গে কমলার নাড়ির যোগ।

ছবি সৌজন্যে, Facebook

মনিরুল হোসেন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মহিলা হিসেবে কি অভিষিক্ত হতে চলেছেন কমলা হ্যারিস। শেষ পর্যন্ত যা নির্বাচনী সমীক্ষা তুলে ধরা হচ্ছে সেখান থেকে পরিষ্কার ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়েও বেশ কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছেন। দ্য ইকোনমিস্টের সমীক্ষায় দেখা গেছে আমেরিকার শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে ৫২ শতাংশ মানুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পছন্দ করছেন। অন্যদিকে ৪১ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ যারা কমলা হ্যারিসকে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। অন্যদিকে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ভোটারের পছন্দ কমলা সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কে পছন্দ করছেন মাত্র ১৩ শতাংশ। আবার ইন্দো আমেরিকানদের মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষের পছন্দ কমলাকে আর ৩১ শতাংশের পছন্দ ট্রাম্প।

এছাড়াও যে সমস্ত সমীক্ষা উঠে এসেছে সেখানে সমানে সমানে লড়াইয়ের টক্কর দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসের পাল্লায় ভারী। ভোট সমীক্ষা সত্যি পরিণত হলে মার্কিন ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে ইতিহাস রচনা করবেন কমলা হ্যারিস। বিশেষ করে ভারতীয় হিসেবে আমাদের ও বড় প্রাপ্তি ।

কমলা হাদিসের মা ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। অভিবাসী হিসাবে কমলা হ্যারিসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে। কমলার মা শ্যামলা গোপালন ভারতীয় বংশোদ্ভুত। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। ১৯৫৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিয়েছিলেন। তিনি পেশায় ছিলেন একজন ক্যান্সার গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী।আর বাবা জামাইকান আমেরিকান। কিন্তু শৈশব থেকেই কমলাকে একা হাতে মানুষ করেন তাঁর মা শ্যামলা গোপালন।

কমলা হ্যারিস উচ্চশিক্ষা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই সময় থেকেই তিনি বর্ণবৈষম্যবাদ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। আইনজীবী হিসেবে নিজের কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন কমলা। হ্যারিসের স্বামী ডাগ এমহফ ও একজন সফর আইনজীবী। ২০১৪ সালে তারা বিবাহ সূত্র আবদ্ধ হন। ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে কমলাহারিস আমেরিকার প্রথম মহিলা কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রথম এশিয়ান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। এবার আরও একটা ইতিহাস তৈরীর মুখে দাঁড়িয়ে কমলা হারিস। নির্বাচিত হলে, তিনিই হবেন প্রথম মহিলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তা সত্যি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।