৮৭ বছরে ও থামতে চান না অদম্য অমরনাথ দে

মনিরুল হোসেন :পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে বাংলার যে সব সংগঠনের নাম প্রথম সারিতে উঠে এসেছে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছিল বিদ্যুত বাহিনীর নাম। বিট্রিশ পুলিশের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে বিদ্যুত বাহিনীর সদস্যরা। মেদনীপুর ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি।জেলায় বিভিন্ন বিপ্লবী আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছে বিদ্যুৎবাহিনী।যার নেতা ছিলেন সতীশচন্দ্র সামন্ত, সুশীল কুমার ধাড়া। মেদনীপুরে ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তৈরি হয় জাতীয় তাম্রলিপ্ত সরকার। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পরে এটিকেই জাতীয় বাহিনী ঘোষণা করা হয়।বিদ্যুত বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হাওড়ার শিবপুর বাজারের বেশ কয়েকজন যুবক।তাঁদের মধ্যে ছিলেন অমর নাথ দে। দেশের জন্য তাঁর গোটা পরিবার লড়াই করেছেন। কারাগারে বন্দী থেকেছেন।
শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হল।স্বাধীন ভারতে বিদ্যুত বাহিনীর ভূমিকা আর আগের মতো থাকল না। অমরনাথ দে বিদ্যুত বাহিনীর নাম বদলে রাখলেন বিদ্যুত স্পোটিং ক্লাব। শুরু হল স্বাধীন ভারতে বাংলার নারী শক্তিকে ক্রীড়াক্ষেত্রে সামনের সারিতে তুলে ধরতে নতুন। ৮৭ বছর পার হয়েছে।বাধ্যকের বাধা পেরিয়ে নারীদের জন্য সমানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত সুখ স্বাচ্ছন্দ্যকে সূরে সরিয়ে রেখে গ্রামবাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করা, বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফুটবলার থেকে ক্রিকেটার তৈরি করাই ছিল তাঁর জীবনের লক্ষ্য।আইএফএ মহিলা ফুটবল দল তৈরির ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল বাংলায় মহিলা ক্রিকেট দল তৈরির নৈপথ্য বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন অমরনাথ দে। শুধু মহিলা ফুটবল, ক্রিকেট নয় তিনি মহিলা বাস্কেটবল, সেপক তিনি চালু করেছিলেন। রাজ্য থেকে দেশ এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরেও তাঁর ক্লাবের খেলোয়াড়রা নজর কেড়েছিলন।ম মঞ্জু গাঙ্গুলি,, রিঙ্কি দও, শেফালি চৌধুরী মতো প্রতিভা তিনি গড়ে তুলেছিলেন।

ক্রীড়াজগতের নানান কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত তিনি। পেয়েছেন বিভিন্ন সম্মান। সম্মানিত করেছে বহু ক্রীড়া তারকাকে। বিশ্ববিখ্যাত গোলরক্ষক লেভিয়া ইয়াসিনসহ তাঁর সতীর্থদের এই হাওড়াতেই সম্মানিত করেছিলেন অমরনাথ দে।তাঁর হাত ধরে অনেকই পৌঁচ্ছে গেছেন অনেকটা পথ।জীবনের উপান্ত বেলায় দাঁড়িয়ে খেলার জগতেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে চান। এভাবেই তাঁর পথ চলাতেই আনন্দ।