বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য : ১৯১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই কংগ্রেস বিজেপি মুখোমুখি নির্বাচনী লড়াইয়ে তে কংগ্রেসের ফল খুব ই খারাপ। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের ফলে এই ক্ষেত্রে কংগ্রেস কিছু টা আশা জাগালেও সদ্য সমাপ্ত হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ফের পিছিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় সামনে ই রয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৭৬টি আসনে মুখোমুখি লড়বে কংগ্রেস ও বিজেপি। এর মধ্যে ৩৬টি আসন রয়েছে বিদর্ভের ‘কটন বেল্ট’ বলে পরিচিত অঞ্চলে। মরাঠি ভূমে কারা এবার সরকার মহাজুটি না মহাবিকাশ আগারি তা এই আসন গুলির ফলের উপরে অনেক টা নির্ভর করবে।
মহাজুটি র শরিক হিসেবে বিজেপি ১৪৮ আসনে লড়ছে। এর মধ্যে বিদর্ভ অঞ্চলে বিজেপি ৪৭টি কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। মহাবিকাশ আগারি জোটের শরিক কংগ্রেস ১০২টি আসন লড়ছে। দুই জোটের দুই সর্বভারতীয় দলের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে ওই ‘কটন বেল্টের ভোট দাতাদের উপর। বিদর্ভ অঞ্চলে শুধু যে কংগ্রেস ও বিজেপির মুখোমুখি টক্কর ভোটের উত্তাপ বাড়িয়েছে তা নয়, এখানে দুদলেরই প্রার্থী হিসেবে মহারথী রা রয়েছেন। যেমন বিজেপির রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ, রাজ্য বিজেপি প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রার্থী রয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি নানা পাটোলে।
গত লোকসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলের দশটি আসনের মধ্যে পাঁচটি জিতেছে কংগ্রেস, ভারত জোড়ো যাত্রায় বেরিয়ে রাহুল গান্ধী মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি এই অঞ্চলে জোর দিয়ে ছিলেন। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও যে কংগ্রেস এই অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে তা প্রার্থী নির্বাচনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বিদর্ভ তথা মহারাষ্ট্রের কটন বেল্টে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি এবং বিধানসভার বিরোধী দল নেতা দুজনেই।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিদর্ভে খুব ই খারাপ ফল করেছে বিজেপি। এই তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় বিদর্ভ পুনরুদ্ধার করা কতটা কঠিন কাজ তা গেরুয়া শিবির জানে। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১২২টি আসনে জিতেছিল। এর মধ্যে ৪৪টি আসন এসেছিল এই বিদর্ভ অঞ্চল থেকে। তবে এবার আর এস এস ও বিজেপি দুপক্ষই বুঝেছে একে অপরকে কতটা দরকার। তাই দুপক্ষের মধ্যে যে শীতল সম্পর্ক দেখা যাচ্ছিল তা অনেক টাই মুছে গিয়েছে। এবার নির্বাচনে বিদর্ভ অঞ্চলে ভোট প্রচারে অত্যন্ত সক্রিয় হয়েছে আর এস এস। এই কারণে বিজেপির আশা নির্বাচনে তাদের ফল ভালো হবে।
অন্যদিকে কংগ্রেসে পাখির চোখ করেছে দলিত, মুসলিম ও কুনরি ভোটকে। হাত শিবিরের আশা এই তিন সম্প্রদায়ের ভোট তাদের গত লোকসভা নির্বাচনের মতোই সাফল্য এনে দেবে। এ ছাড়াও বিদর্ভ সহ গোটা মহারাষ্ট্র জুড়েই কংগ্রেস কর্মহীনতা ও বেকারত্ব কে প্রচারের হাতিয়ার করেছে