মণিপুরের হিংসায় কোনোভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না। হিংসা দমনে আরো নতুন করে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অন্যদিকে হিংসা কবলিত 19 টি থানা এলাকায় বিশেষ আইন আফসা প্রয়োগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত অপহৃত ৬ জন মেইতেইদের দেহ উদ্ধারের পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
মনিপুরের তিনটি মামলার তদন্তের ভার N I A-র হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষে গত কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত মনিপুর। দুপক্ষের বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। বহু মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন। এত কিছুর পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো পর্যন্ত মনিপুর সফর করেননি।। উল্টোদিকে রাহুল গান্ধী কয়েক মাস আগে দুপক্ষের সঙ্গে মনিপুরে গিয়ে কথা বলেন। কিন্তু সংঘর্ষ থামার বিরাম নেই। মনিপুরের ঘটনার হিংসার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ ২০২৩ এর মে মাস থেকে এখনো পর্যন্ত কুকি ও মেইতেইদের দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২৪০জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এদিকে মনিপুর প্রশাসন ইম্ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আরো একদিন বৃদ্ধি করেছে। বিজেপি ও তাদের শরিক দল পরিচালিত সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। সোমবার সন্ধ্যায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ জরুরী বৈঠক ডেকেছেন। হামলাকারীরা ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
মনিপুরের বিভিন্ন মন্ত্রী ইতিমধ্যেই আক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ির সামনে বাংকার বানিয়েছে। এমনকি আত্মরক্ষায় মজুত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। সব মিলিয়ে মণিপুরে গভীর উদ্বেগকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।