তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল ঘিরে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার নেতৃত্বের মধ্যে চাপা টেনশন ক্রমশ বাড়ছে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন লোকসভা ভোটের সাফল্য ব্যর্থতা সামনে রেখেই দলের সর্বস্তরে ব্যাপক রদবদল করা হবে। সেইমতো আইপ্যাক ও ও দলের আভ্যন্তরী রিপোর্টের মাধ্যমে বড়সড় রদবদল করা হবে তা কদিন আগেই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জানিয়েছেন তিনি যেসব নাম পরিবর্তন সুপারিশ করেছেন তা ইতিমধ্যেই দলনেত্রী ও দলের সাংগঠনিক সর্বস্তরের নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের সুপারিশ করার তালিকা দেখে কাদের বেছে নেন।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন হোয়াই পারফর্ম করো না হয় পথ ছাড়ো।

এই নীতিতেই বিশ্বাসী তিনি। এই নীতি যদি কার্যকর করা হয় তাহলে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনে যে জেলাগুলি সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে সেগুলি হল আলিপুরদুয়ার উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা জেলায় লোকসভা নির্বাচনে কোন আসন তৃণমূলের ঝুলিতে আসেনি। বিশেষ করে মালদার হতাশা জনক ফলাফলের কারণ হিসেবে উঠে আসছে জেলা নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ চাপা কলহ। রহিম বক্সি, সাবিনা ইয়াসমিন, সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, মৌসুম বেনজির নূর কেউ সেই অর্থে দাগ কাটতে পারছে না। স্বাভাবিকভাবেই মালদাতে বড়সড় সাংগঠনিক রদ বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।

একই অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার। পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা আসনে কোনটি সেই অর্থে দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল প্রার্থীরা। অখিল গিরি সৌমেন মহাপত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে অখিল গিরিকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছেএই তিনটি জেলার কোন আসন তৃণমূল। সে দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা প্রবল। পুরুলিয়া লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেস জেতার জন্য সর্ব শক্তিতে ঝাঁপিয়েছিল। । পুরুলিয়াতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও শেষ মুহূর্তে জয়লাভ করেছে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। কুড়মি নেতা অজিত মাহাতো নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে অনেক ভোট কাটলেও তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো জয়লাভ করতে পারেননি। বিশেষ করে পুরুলিয়া শহর এলাকায় গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফল করলেও এমনকি পুরুলিয়া পৌরসভা তৃণমূলের হাতে থাকলেও সেখানে তৃণমূল বেশ খারাপ ফোন করেছে।। স্বাভাবিকভাবেই যদি সাফল্যই পথ ধরে রাখার প্রধান বিবেচ্য হয় তাহলে এই জেলাগুলির সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড়সড় বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পৌরসভার চেয়ারম্যান বিভিন্ন ব্লক সভাপতির বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আবার পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রামে ভালোই ফল করেছে। মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নেওয়া গেছে। সে দিক থেকে ঝরগ্রাম ও মেদিনীপুরের সাংগঠনিক পরিবর্তনের খুব বেশি সম্ভাবনা নেই।তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রদবদল ঘিরে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার নেতৃত্বের মধ্যে চাপা টেনশন ক্রমশ বাড়ছে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন লোকসভা ভোটের সাফল্য ব্যর্থতা সামনে রেখেই দলের সর্বস্তরে ব্যাপক রদবদল করা হবে। সেইমতো আইপ্যাক ও ও দলের আভ্যন্তরী রিপোর্টের মাধ্যমে বড়সড় রদবদল করা হবে তা কদিন আগেই জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন তিনি যেসব নাম পরিবর্তন সুপারিশ করেছেন তা ইতিমধ্যেই দলনেত্রী ও দলের সাংগঠনিক সর্বস্তরের নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের সুপারিশ করার তালিকা দেখে কাদের বেছে নেন।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন হোয়াই পারফর্ম করো না হয় পথ ছাড়ো। এই নীতিতেই বিশ্বাসী তিনি। এই নীতি যদি কার্যকর করা হয় তাহলে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনে যে জেলাগুলি সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে সেগুলি হল আলিপুরদুয়ার উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা জেলায় লোকসভা নির্বাচনে কোন আসন তৃণমূলের ঝুলিতে আসেনি। বিশেষ করে মালদার হতাশা জনক ফলাফলের কারণ হিসেবে উঠে আসছে জেলা নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ চাপা কলহ। রহিম বক্সি, সাবিনা ইয়াসমিন, সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, মৌসুম বেনজির নূর কেউ সেই অর্থে দাগ কাটতে পারছে না। স্বাভাবিকভাবেই মালদাতে বড়সড় সাংগঠনিক রদ বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। একই অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার। পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা আসনে কোনটি সেই অর্থে দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল প্রার্থীরা। অখিল গিরি সৌমেন মহাপত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে অখিল গিরিকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছেএই তিনটি জেলার কোন আসন তৃণমূল। সে দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা প্রবল। পুরুলিয়া লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেস জেতার জন্য সর্ব শক্তিতে ঝাঁপিয়েছিল। । পুরুলিয়াতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও শেষ মুহূর্তে জয়লাভ করেছে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। কুড়মি নেতা অজিত মাহাতো নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে অনেক ভোট কাটলেও তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো জয়লাভ করতে পারেননি। বিশেষ করে পুরুলিয়া শহর এলাকায় গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফল করলেও এমনকি পুরুলিয়া পৌরসভা তৃণমূলের হাতে থাকলেও সেখানে তৃণমূল বেশ খারাপ ফোন করেছে।। স্বাভাবিকভাবেই যদি সাফল্যই পথ ধরে রাখার প্রধান বিবেচ্য হয় তাহলে এই জেলাগুলির সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বড়সড় বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পৌরসভার চেয়ারম্যান বিভিন্ন ব্লক সভাপতির বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আবার পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রামে ভালোই ফল করেছে। মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নেওয়া গেছে। সে দিক থেকে ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুরের সাংগঠনিক পরিবর্তনের খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে পূর্ব পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূল ভালো ফল করেছে। নদিয়ায় একটি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিজেপি। সে দিক থেকে নদিয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। তবে দুই চব্বিশ পরগনার মধ্যে অধিকাংশ বিধানসভাতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সে দিক থেকে সাংগঠনিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। হাওড়া হুগলি ও কলকাতায় লোকসভা ভোটের মূল ফলাফল করলেও কলকাতা পৌরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে বিজেপি। এটা বেশ ভাবাচ্ছে দলীয় শিষ্য নেতৃত্ব কে। সে দিক থেকে কলকাতায় কোন পরিবর্তন হয় কিনা সেটা দেখার। সব মিলিয়ে সাংগঠনিক রদবদলের মার্কশিট জমা পড়েছে, এবার ফল ঘোষণার অপেক্ষা। তবে কার পথ যাবে আর কে নতুন পথ পাবে, তা নিয়ে এখন চলছে, নেতাকর্মীদের মধ্যে জোর জল্পনা কল্পনা।