বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাশের গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তাল বাংলাদেশ। অভিযোগ বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর প্রতিনিয়ত আক্রমেনর ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভাঙা হচ্ছে মন্দির। আক্রান্ত হচ্ছেন বহু হিন্দু পরিবার। ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ভারত সরকারও হিন্দুদের ওপর আক্রমনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কলকাতায় প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দ্ু অধিকারি।
এবার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অত্যাচারের প্রতিবাদে পথে নামল সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। শুক্রবার যুব ফেডারেশনের এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়ে অবিলম্বে বাংলাদেশে শান্তি ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন।
![](https://amritabazar.in/wp-content/uploads/2024/11/1000012404-1024x1024.jpg)
বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয়স্থান মন্দির ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন এবং ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে কোন রকম, কোন অশুভ শক্তি বাধা প্রদান করতে পারবেন না। তা বাংলাদেশ সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের হাতে একজন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যুতেও সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন শোকাহত প্রকাশ করেন।
![](https://amritabazar.in/wp-content/uploads/2024/11/1000012406-1024x1024.jpg)
তিনি আরো বলেন একজন সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের অসম্মান করা আমরা সমর্থন করি না। আবার জনৈক সন্ন্যাসীর সমার্থক আন্দোলনকারীদের হাত থেকে তরুণ আইনজীবীকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন বাঁচাতে ব্যর্থ হওয়া এটা নিশ্চয়ই অশুভ ইঙ্গিত।
কামরুজ্জামান বলেন কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে যেভাবে মাদ্রাসার ছাত্ররা ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মন্দির গুলোকে রাত জেগে পাহারা দিয়েছিলেন, তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম। ডক্টর ইউনুস নিজে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে সেই ছন্দপতন আমরা দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছি।