HMPV VIRUS : এইচএমপিভি ভাইরাসটির মূল লক্ষণ সর্দি কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হওয়া। শিশুরা এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয়।
২০০১ সালে প্রথম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আবিষ্কার হয়। তবে আবিষ্কার হওয়ার ৬০ বছর আগে থেকে ভাইরাসটি অস্তিত্ব ছিল। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হবেন।
চীনে সম্প্রতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে ।এই ভাইরাসের প্রকোপে চীনে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ২০২৪ সালে চীনে ৩২৪ জন এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ২২৫।
এর লক্ষণগুলো কী
সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডার কারণে সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণের জটিলতা বাড়তে পারে। অনেক সময় সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে এর ফলে ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা মতো সমস্যা হতে পারে।
চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যে কোনো সময়ে দেশটি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে বলেও দাবি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের।চীনের মতো একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানেও। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে সাত লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে।মালয়েশিয়াতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে ।এর আগে ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছিলো।
এইচএমপিভি কীভাবে ছড়াতে পারে
এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতো ছড়ায়। এটি সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বাতাস থেকে ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির জীবাণু হাঁচি-কাশির কারণে বা জীবাণুযুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করলে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। এইচএমপিভি আক্রান্ত কারও কাছে গিয়ে তার কাপড় বা ব্যবহার্য কোনো জিনিসি ধরে নাকে-মুখে-চোখে হাত দিলে এর আগে ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছিলো। প্রবেশ করে। আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়; গড়ে ৫ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়।
এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা
করোনা ভাইরাসের মতো এই ভাইরাসেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশু ও প্রবীনরা। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে, তারা নতুন এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন । বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে আগেও এইচএমপিভি ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল। এখনও শিশু আর প্রবীণদের শরীরে মিলবে এটির অস্তিত্ব। তবে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। করোনার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই, সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
এইচএমপিভির টিকা নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কার হলেও এইচএমপিভি সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কোনো টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এতে সংক্রমিত হলে চিকিৎসার জন্য ওষুধও নেই। এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে লাখ লাখ এমন ভাইরাস রয়েছে, যার কোনো টিকা বা ওষুধ নেই। তাই বলে সেই ভাইরাসের সংক্রমণে মানুষ মারা যাচ্ছেন, এমন কিন্তু নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ নিজে থেকে সেরে যায়।
নজর রাখা জরুরী
কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তা ডা. অতুল গয়াল জানিয়েছেন, ‘ ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সংক্রমণ যেন না ছড়ায় সে বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় ব্যবহৃত রুমাল বা তোয়ালে পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া ঠাণ্ডা ও জ্বরের জন্য সাধারণ ওষুধ সেবন করলেই হবে।’
যেসব বাচ্চার অ্যালার্জিজনিত হাঁচি, সর্দি লাগা বা হাঁপানির প্রবণতা আছে, তাদের সাবধানে রাখুন। বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।এই ভাইরাসও ড্রপলেট, অর্থাৎ হাঁচি- কাশি মারফত ছড়ায়। এই ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে। তাদের সর্দিকাশি হলে তার থেকে দূরে থাকতে হবে। ।
