TMC Organisation Meeting 2025
কলকাতা
বৃহস্পতিবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধিত সভা। এই সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে সক্রিয় কর্মীদের মধ্যে একদিকে উন্মাদনা অন্যদিকে চাপা টেনশন কাজ করছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জেলার সব প্রান্ত থেকে সাংগঠিক স্তর থেকে শুরু করে তৃণমূলের সব শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব সভায় যোগ দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার তৃণমূলের নেতা কর্মীদের আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের তৃণমূল স্তর থেকে প্রথম সারির নেতৃত্বের প্রতি কি বার্তা দেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সবার নজর সেদিকে। বিশেষ করে সাংগঠনিক সব স্তরেই নেতৃত্বের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখে নেত্রী। ইতিমধ্যেই প্রত্য়েক বিধায়ককে নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ব্লক স্তর থেকে তারা কাকে সংগঠনে রাখতে কিংবা অন্য সাংগঠনিক পদে তাদের পছন্দের তালিকায় কাদের রাখা হবে সে জন্য প্রতিটি পদের জন্য তিনটি করে নাম পাঠানোর নিদেশ কদিন আগেই বিধানসভায় বিধায়কদের জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই বিধায়করা আশায় বুক বাঁধছেন তাদেের পছন্দের নেতাকেই গুরুত্ব দেবেন দিদি। চার বছর পর আবার দলে পর্যবেক্ষক পদ ফিরতে পারে বলে প্রবল সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। আবার বীরভূম মডেলের মতো দলের জেলা নেতাদের মতো জেলাসভাপতির বদলে কমিটি তৈরি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলায় এই ফর্মূলা প্রয়োগ হতে পারে।
পুজোর আগে সাংবাদিকদের তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন লোকসভা ভোটের পারফর্মেসেন্সের নিরিখে কাদের পদে রাখা হবে তার বিস্তারিত রির্পোট দলনেত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুজোর পরে তা কার্যকর করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রেই তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এমনকি আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন আইপ্যাক নির্ভরতা তিনি কমাচ্ছেন। তারপর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত তাঁর কেন্দ্রের সেবাশ্রয় কর্মসূচী নিয়েই বেশি ব্যস্ত আছেন। দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই দুরত্ব ও নীরবতার কারণে অভিষেক ঘনিষ্ট দলের বিভিন্ন পদাধিকারীরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাদের কাঁধের দলের দায়িত্ব বাড়বে না ডানা ছাঁটা হবে তা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা রয়েছে।
অন্যদিকে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে কারা টিকিট পাবে তা নিয়ে কোন আভাস মেলে কিনা সেটাও দলের অন্দর মহলে জোর চর্চা চলছে। পাশাপাশি দলের প্রবীন না নবীন নেতৃত্ব কাদের ওপর বেশি ভরসা নেত্রীর সেটাও পরিস্কার হবে বলে মনে করছে কর্মীরা। সব মিলিয়ে দিদির মুখের কথার দিকে তাকিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আপের পরাজয়ের পর এই সাংগঠনিক বৈঠক আরও মাত্রা পেতে চলেছে। তাই এবারের বর্ধিত সভা সর্বস্তরের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আবেগ উদ্বেগের সভা হতে চলেছে।
