Phalgao Effect
কাশ্মীর :
২০২২ সালে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান মুদাসির। তাঁর এই অসম সাহসিকতার জন্য মুদাসিরের বাবা মায়ের হাতে রাষ্ট্রপতি তুলে দিয়েছিলেন ‘শৌর্য চক্র’। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর সেই শহীদ মুদাসিরের বাবা মাকে কাশ্মীর ছেড়ে পাকিস্তানের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসলে বহু বছর আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পালিয়ে এসে ভারতেই পাকাপাকি ভারতে বসবাস করেছিলেন আর অনেকের মতো মুদাসিরের বাবা মা পরিবারের অন্য সদস্যরা । এখানেই জন্ম হয় মুদাসিরের। বড় হয়ে মুদাসির ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করে এবং দেশের জন্য প্রাণ দেয়।

২০১০ সালের জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ফিরে আসা পরিবারের পুনর্বাসন প্রকল্প দেওয়া হবে। কিন্তু পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর সরকারি সিদ্ধান্তেবিপাকে পড়েছেন তাঁরা । এই রকম ৬০টি পরিবারের সদস্যদের চিহ্নিত করে সবাইকে পাঞ্জাবের ওয়াগা আটারি সীমান্তের চেকপোষ্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ মুদাসিরের মা শামীমা আক্তার ও দেওর মোহাম্মদ ইউনুস। শামীমা আক্তারের বক্তব্য পাক অধিকৃত কাশ্মীর তো আমাদেরই। তাদের পাকিস্তানি বলে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানো ঠিক হচ্ছে না। জম্মু-কাশ্মীরে সিপিএমের একমাত্র বিধায়ক ইউসুফ তারাগিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বহু মানুষ এসেছিলেন। কারণ জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য সরকার ২০১০ সালে তাদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। এখন তাদের পাকিস্তানি পরিচয় বিচার করে ফেরত পাঠানো অমানবিক। তাদের পরিবারের অনেকেই জম্মু-কাশ্মীরে এসে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন। এখানকার জীবনের অংশ হয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। আইন মেনে চলা যে কোন নাগরিকের মতই তারা জীবন যাপন করছেন। এখন তাদের জোর করে ফেরত পাঠালে জনজীবনের যন্ত্রণা বেড়ে যাবে”
