South Kolkata Law College Gangrape Controversy
কসবায় সাউথ কলকাতা ল কলেজে গণধর্ষণ কান্ডে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের প্রবল দাপট ও কলেজে অস্থায়ী চাকরি কার সুপারিশে পেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মনোজিতের ল কলেজে এই প্রবল দাপটের পিছনে নাম জড়িয়েছে বজবজের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের।ল কলেজের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান অশোক দেব। তিনি নাকি কলেজের অস্থায়ী কর্মীর চাকরীর জন্য মনোজিত মিশ্রের নাম সুপারিশ করেছিলেন।
কিন্তু অশোক দেব পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন মনোজিত মিশ্রকে তিনি চেনেন না এবং কলেজে অস্থায়ী চাকরীর জন্য তার নাম তিনি সুপারিশ করেন নি। তিনি বলেন ‘অনেকেই তো আসে আমার কাছে। সবাইকে চেনা সম্ভব নয়।আমি একজন রাজনীতিবিদ। তাই সবাই আসে। আমি কোনও চাকরির সুপারিশ করিনি। কলেজে কর্মীর দরকার ছিল। আবেদন করেছিল, কাজ পেয়েছে। আমি চাকরির জন্য আজ পর্যন্ত কাউকে সুপারিশ করিনি। আর এটা চাকরি নয়। এটা প্রতিদিন হিসেবে কাজ। আজ আছে কাল নেই। আবারও বলছি, কেউ পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে কাছের লোক হয় না। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে কিনা দেখতে হবে!সরকারকে হেনস্থা করা হচ্ছে।’
বুধবার সাউথ কলকাতার ল কলেজের মধ্যেই এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ইতি মধ্যেই কসবা থানার পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন বর্তমান ছাত্র ও দু’জন প্রাক্তনী রয়েছে।দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজের ঐ ছাত্রীর অভিযোগ বুধবার কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে তাঁকে সন্ধ্যার পর কলেজ ডাকা হয় এবং কলেজের রুমের মধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই কসবা থানার পুলিশ আধিকারিকরা প্রথমে দু’জনকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তাঁদের থেকেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়।মূল অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
