মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় কেন মুক্তি পেল প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞাসহ সাত জন

Malegaon Blast Verdict

মনিরুল হোসেন, সাংবাদিক

২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে মালেগাঁওয়ের ভিক্কু চকের কাছে বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল ।১৭ বছর মামলা চলার পর  প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে, বিজেপির প্রাক্তণ সাংসদ সন্ন্যাসীনি সাধ্বী প্রজ্ঞাসহ সাত জন অভিযুক্তকে বেকসুর মুক্তি দিল আদালত।  এরা হলেন মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) রমেশ উপাধ্যায়, সুধাকর চতুর্বেদী, অজয় রাহিরকর, সুধনকর ধর দ্বিবেদী এবং সমীর কুলকার্নি ।

কেন এতবড় ঘটনায় এত মানুষের নিহত ও আহত হওয়ার পরও মুক্তি দেওয়া হল। এ সম্পর্কে জানা গিয়েছে এনআইএ আদালতের বিচারকের যুক্তি যে মালেগাঁওয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাটি প্রতিষ্ঠিত হলেও, অভিযুক্তদের সাথে যুক্ত মোটরসাইকেলে বোমাটি রাখা হয়েছিল তা প্রমাণ করতে পারেনি সরকারি আইনজীবিী। বিচারক লাহোটি বলেছেন ” মালেগাঁওয়ে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে কিন্তু সেই মোটরসাইকেলে বোমাটি রাখা হয়েছিল তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে,” পাশাপাশি আদালত মেডিকেল রেকর্ডের অসঙ্গতির দিকেও ইঙ্গিত করে বলেছে যে আহত ব্যক্তির প্রকৃত সংখ্যা ১০১ জন নয়, বরং ৯৫ জন, যেমনটি আগে দাবি করা হয়েছিল। “কিছু মেডিকেল সার্টিফিকেটে কারচুপি করা হয়েছে,” ।

মুম্বাইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত সাত অভিযুক্তকে খালাস দেওয়ার পর, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই আদালতে প্রাক্তন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, সরকারপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে তাদের মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর বলেন ” ১৭ বছর ধরে আমি একজন সন্ন্যাসীর জীবনযাপন করেছি। মানুষ আমাকে সন্ত্রাসী হিসেবে দেখত। আমি অনুগ্রহে থাকতে পারতাম না। কেবল আমি একজন সন্ন্যাসী ছিলাম বলেই আমি বেঁচে গিয়েছিলাম। ভগবান (ঈশ্বর) আমার হয়ে এই মামলা লড়ছিলেন,” তিনি আরও বলেন, “অন্তত এই আদালত আমার কথা শুনেছে। যারা ভগবান (গেরুয়া) সন্ত্রাসী বলেছেন, ঈশ্বর তাদের কখনও ক্ষমা করবেন না।”

 আদালত মহারাষ্ট্র সরকারকে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।