Students beaten up in Kolkata for being labeled Bangladeshi
মনিরুল হোসেন
বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশী তকমা দেওয়া হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়াকে। এখানেই শেষ নয়, গালিগালাজ থেকে তাদের মারধরও করা হলো। ঘটনাস্থল দিল্লি রাজস্থান বা হরিয়ানা নয়। এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার সবচেয়ে ব্যস্ততম স্টেশন শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে।
বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হোস্টেলের এক ছাত্র শিয়ালদা ওভার ব্রিজের নিচে একটি মোবাইল সরঞ্জামের দোকানে কিছু জিনিস কেনার জন্য দরদাম করছিলেন। এই নিয়েই বিক্রেতার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সেই সময় হিন্দিভাষী ওই বিক্রেতা ওই পড়ুয়াকে গালিগালাজ করেন এবং বাংলাদেশী বলে তার উপর চড়াও হয়। ওই ছাত্র হোস্টেলে ফিরে এসে আরো কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে যায় তখন বচসা চলাকালীন ওই বিক্রেতার সঙ্গে আশপাশের অন্য ব্যবসায়ীরাও ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। ছাত্রদের অভিযোগ তাদের মারধর করতে করতে বলা হয় তোরা বাংলাদেশে কি করবি বল। এমন কি তাদের মধ্যে একজনের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় ।এমনকি একজনকে আটক করে রাখে।
কয়েকজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় মেডিকেল কলেজে তাদের চিকিৎসা করা হয়। পরে আক্রান্ত পড়ুয়ার মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় এই পড়ুয়ারা। ঘটনার খবর পেয়ে মুচিপাড়া থানায় আসেন বাংলা পক্ষে সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
প্রশ্ন হচ্ছে খোদ কলকাতায় হিন্দিভাষী ব্যবসায়ীদের এত সাহস কি করে জন্মায় যে তারা বাংলায় কথা বলার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের ও বাংলাদেশি তকমা দিয়ে অত্যাচার করবে। এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়েছে কিনা খবর জানা যায়নি।
