বাংলাদেশে ফের মৌলবাদীদের তান্ডব কবর থেকে লাশ তুলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল

Radical violence in Bangladesh

ছবি সৌজন্যে, প্রথম আলো

মনিরুল হোসেন

বাংলাদেশে ফের উগ্র মৌলবাদীদের তান্ডব। উন্মত্ত জনতা কবর থেকে মৃতের লাশ তুলে সড়কে নিয়ে গিয়ে লাশে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। কারণ মৃতের কবর কেন মাটির উপরে উঁচু বেদি করে দেওয়া হয়েছে এবং কেন কবরের চারপাশে কাবা শরিফের মতো করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজবাড়ির গোয়ালন্দ উপজেলা। এই ঘটনায় ৫০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে “রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল নামের এক ব্যক্তিকে গত ২৩ আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তাঁর মৃত্যু হয়। ওই দিন রাতে দরবারে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে প্রথম জানাজা ও ভক্তদের অংশগ্রহণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাটি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে বিশেষ কায়দায় তাঁকে দাফন করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় আলেম সমাজ।“

 “প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী “পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ জুমার নামাজের পর আনসার ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। কর্মসূচিতে একদল লোক শাবল, বড় হাতুড়ি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজির হয়। এ সময় উপস্থিত আলেম–ওলামা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও ওই লোকজন মিছিল নিয়ে নুরুল হকের বাড়ির দিকে রওনা হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, মিছিল নিয়ে প্রথমে নুরুল হকের আস্তানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন দরবারের লোকজন ইটপাটকেল ছুঁড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে অপর পাশ থেকেও ইটপাটকেল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে কয়েক শ লোক দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে দরবারে হামলা চালান। এ সময় ভক্তদের কয়েকজনকে বেধড়ক পেটানো হয় এবং নুরুল হকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে নুরুল হকের লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোক আহত হন। পরে পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।“

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই বর্বরতা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।