তিন বছর জেল মুক্তির পর বান্ধবী বিতর্কে অকপটে পার্থ সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার তোড়জোড়

Partha Chatterjee Girl Friend

নিজস্ব প্রতিবেদন

 বান্ধবী থেকে রাজনীতি অকপটে পার্থ

মুখ খুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে অকপটে জানিয়েছেন তাঁর অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব থেকে শুরু বন্ধুত্বের পক্ষে সাফাই। টেনে এনেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখীকে। আবার এ বিষয়ে নতুন করে যুক্ত করেছেন সৌগত রায়ের নাম। একই সঙ্গে আগামী রাজনীতির কর্মকান্ড থেকে সংসদচীয় রাজনীতিতে তাঁর গুরুকে সবই তুলে ধরেছেন। নিউজ ১৮ বাংলা ও টিভি নাইনে দেওয়া তাঁর বক্তব্যর অংশ গুলি তুলে ধরা হল।

প্রসঙ্গ বান্ধবী অর্পিতা :

‘‘অর্পিতা আমার বান্ধবী। তাতে অসুবিধার কী আছে? আপনারা যদি শোভন-বৈশাখীকে দেখাতে পারেন, তা দেখাবেন? আর এখানে, দলে অনেককে খুঁজে পাবেন, সৌগতদাকে খুঁজে পাবেন, যারা যারা আছে, দিদিমণি তো খবর রাখেন না তা না! সিরিয়াল দেখেন, সিনেমা আর্টিস্টদের খবর রাখেন, তাদের ক’টা বদল হল আর ক’টা থাকল, তিনি খবর রাখেন না? সব রাখেন।“

পাল্টা জবাব শোভনের বান্ধবী বৈশাখীর

, “অপা ইচ্ছেডানা এইগুলো তৈরির এই সব তৈরির সালগুলি দেখলে বোঝা যাবে ওঁর স্ত্রী বেঁচে ছিলেন নাকি ছিলেন না। সেই সময় ভয়ে মামা বলে পরিচয় দিয়েছেন ভয়ে বলতে পারেননি। আজকে খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে।, “উনি জেল থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে সৎ বলছেন। মামা-ভাগ্নীকে এখন বান্ধবী বলে পরিচয় দিচ্ছেন এটা ভাল লাগছে জেনে। কারণ, এলআইসি তে  অর্পিতাকে ভাগ্নী বলে লিখেছিলেন।”

অর্পিতার প্রতি অবিচার

‘‘এক জন মহিলাকে অসম্মান করা তো খুব সহজ। এখানে সংবাদমাধ্যম রং চড়িয়ে তা করেছে। আমার স্ত্রী প্রয়াত। তার পরে কোনও মহিলা যদি আমার সঙ্গে পারিবারিক বন্ধুত্ব করতে চান, সে ক্ষেত্রে কি কারও কোনও আপত্তি থাকতে পারে? অর্পিতার পরিচয় তো শুধু আমার বান্ধবী নয়! সে অভিনেত্রী, ৩০-৩৫টি ওড়িয়া ছবিতে কাজ করেছে। দিনের পর দিন যে ভাবে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে, তা অন্যায়।’’

প্রসঙ্গ রাজনীতির গুরু :

“ আমার যদি মেন্টর থাকেন কেউ, সংসদীয়তে তাহলে হাশিম আব্দুল হালিম। আর কাকে দেখে, কাকে আক্রমণ করে করতে হবে, তার নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আর কে আমার নেতা? তাঁর নাম মমতা। এই নিয়ে এতদিন রাজনীতি করেছি।’’

আদালতের প্রতি আস্থা

“সোনা গলানোর চেষ্টা করলে খাঁটি সোনা তো গলে না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনি বিষয়ে মন্তব্য করব না। বিচারালয়েই বিচার পাব, সত্যের জয় একদিন হবেই।”