দপ্তরের উদ্যোগ, চাষিরা আগ্রহী?
ভোজনপ্রিয় বাঙালির পাতে রুই, কাতলা, পাবদা, ভেটকির জোগান এখনও আছে ঠিকই, কিন্তু ধীরে হারিয়ে গিয়েছে চাঁদা, খলসে, বেলে, পাঁকাল, চ্যাং, ফলুই, পুঁটি, দেশি কইয়ের মতো গ্রামবাংলার অতিপরিচিত মাছ৷ জিহ্বায় যেন বিরহবেদনা! এবং বিরহ মানেই মিলনের অপেক্ষা। অতএব ভাবনা শুরু। দেশি মাছের বংশবিস্তার হবে কীভাবে, সেই ভাবনার সূচনার কথা বলছি। পাতে আসতে হলে তো আগে ওদের সংসার পাতানোর ব্যবস্থা করতে হবে, নাকি?
গত কয়েক বছরে রাজ্যে মাছের বার্ষিক উৎপাদন বেড়েছে বই কমেনি। তবে তার বেশিরভাগই মেজর কার্প৷ এবার হারাতে বসা ছোট মাছের উৎপাদন বাড়াতে পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্যের মৎস্য দপ্তর৷
![](https://amritabazar.in/wp-content/uploads/2023/12/fish.jpg)
আগে ব্যাপারটা কেমন ছিল? রুই, কাতলা, মৃগেলের মতো মেজর কার্পের ডিম সংগ্রহ করা হ’ত নদী থেকে৷ সংগৃহীত ডিমের সম্ভারে থেকে যেত ছোট মাছের ডিমও। জলাশয়ে চাষের জন্য ডিম ছাড়ার সময়ও বাছবিচারের উপায় ছিল না। এভাবেই বংশবিস্তার হ’ত দেশি ছোট মাছের৷ এখন আর তা হয় না। হ্যাচারির ডিম ব্যবহার করার ফলে সেই সুযোগ নেই৷ শুধু তাই নয়, বিভিন্ন এলাকায় জলাশয় বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। জলজ উদ্ভিদ কেটে ফেলা হয়েছে। চাষের জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে ‘অনাদরে’ মাছের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার স্বাভাবিক পথ বন্ধ।
আগে যা ছিল হেলাফেলার বিষয়, এই পরিস্থিতিতে তা বিশেষ প্রযত্ন দাবি করছে। অগত্যা মৎস্য দপ্তর দেশি মাছের উৎপাদনেও পরিকল্পিত চাষের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি। মাছচাষিরা আগ্রহী হলে ফিরবে পুরনো দিন। বিরহের কাল হবে অবসান।